অনলাইন ডেস্ক::
পুরানো রশি ও তারের কারণেই ঝড়ে টিকতে পারেনি দৌলতদিয়ায় ঘাটের পন্টুনটি। এজন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দুষছেন স্থানীয়রা। এদিকে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালককে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
পুরাতন ও জরাজীর্ণ রশি। পন্টুনের অবস্থাও নাজুক। তা দিয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার ঝড়ে ছিড়ে যাওয়া দৌলতদিয়া ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনটি একেবারেই দুর্বল ও পুরাতন তার দিয়ে বাঁধা ছিল।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, ১১টি রশি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা থাকলেও প্রচণ্ড ঝড়ের কারণেই ছিড়ে গেছে সেগুলো।
দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ঘাটের সারেং আব্দুর রহমান বলেন, ১১টি রশি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা ছিল, হঠাৎ করে কালবৈশাখের ঝড়ের বেগে এটি ছিড়ে গেছে। তুলার মতো উড়ে যায় সব।
এদিকে, নদীতে পড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসে থাকা চালকসহ নিখোঁদের সন্ধানে ঘাটে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। তবে ফায়ার সার্ভিসের দাবি, চালক ছাড়া কেউ ছিল না গাড়িটিতে।
প্রত্যদর্শীদের দাবি, নদীতে পড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটিতে ৫ থেকে ৬ জন যাত্রী ছিলেন।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, গাড়িতে কোনো লোক ছিল না শুধু চালক ছিল, এখন পর্যন্ত গাড়িতে আমরা কাউকে দেখিনি, এখন আমরা অন্য কাজ করব। পানিতে উধাও নাকি আদৌ চালক ছিল কিনা, থাকলে আমাদের কার্যকম অব্যাহত থাকবে।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা মানুষের প্রচণ্ড চাপের মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন ছিড়ে পদ্মা নদীতে পড়ে যায় একটি মাইক্রোবাস। পবে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় গাড়িটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে চালক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।