রবিবার, ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:২৬
শিরোনাম :
নলছিটিতে মা ও ছেলের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ জুলাই গন অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত বেলালকে সরকারি সহায়তার চেক প্রদান। ভাবির সঙ্গে পরকিয়া, যৌতুকের দাবিতে শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া স্ত্রী সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৪ লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক::

টিকা সংকটে থমকে আছে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এতে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৪ লাখ মানুষ পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ডোজ থেকে দ্বিতীয় ডোজের অতিরিক্ত বিরতিতে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় অপেক্ষায় থাকাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ।

কয়েক দিন আগেও দীর্ঘ লাইন আর টিকার ব্যস্ততা এখন যেন মিলিয়ে গেছে সব। টিকা কেন্দ্রগুলোতে শুধু অলস বসে থাকা। ফুরিয়ে এসেছে মজুত অথচ এখনো প্রায় ১৪ লাখ নেয়নি দ্বিতীয় ডোজ। ক্রমেই বাড়ছে শঙ্কা।

দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া একজন জানান, আমি মনে করেছি, নিতে পারব কিনা শঙ্কায় ছিলাম। পরে টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা নিয়েছি। আমার ম্যাসেজ আসে নেই।

এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ডোজ থেকে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান ১২ কিংবা ১৬ সপ্তাহের বেশি হলে হতে পারে হিতে-বিপরীত।

আরও পড়ুন: নেপালে সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোটের দিন ঘোষণা

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, কখনো একাধিক ব্যক্তি একাধিক ভ্যারিয়েন্টে দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এটা দ্বিতীয় ডোজের স্বল্প সময়ে মধ্যে হতে পারে।

অন্যদিকে এখনো ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি পায়নি সেরাম। প্রতিষ্ঠানটি বলছে চলতি বছরের শেষে হয়তো ছাড়পত্র মিলবে। তাই দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৪ লাখ মানুষের পরবর্তী ডোজ নিশ্চিতই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তারা টিকাটা পাবে। এখনতো টিকার সংকট। আমরা সরকারকে বিভিন্ন টিকার অপশন দিয়েছি। এখন সরকার কোনটা শিখে নেয়।

তবে ১৬ কোটির দেশে এই এক কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা মোকাবিলা হবে সাগরে পানি সেচের মতো। দরকার দক্ষতার সঙ্গে বিকল্প উৎস হতে টিকা সংগ্রহ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বোঝাতে হবে। এখানে কোভিড হওয়ার ঝুঁকির বিষয়টি রয়েছে। তবে ক্যালকুলেশন করলে একটা রিকস থাকে সেটা আমাদের নিতে হবে।

এরই মধ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কবে কত ডোজ মিলবে, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা