অনলাইন ডেস্ক::
টিকা সংকটে থমকে আছে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এতে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৪ লাখ মানুষ পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ডোজ থেকে দ্বিতীয় ডোজের অতিরিক্ত বিরতিতে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় অপেক্ষায় থাকাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
কয়েক দিন আগেও দীর্ঘ লাইন আর টিকার ব্যস্ততা এখন যেন মিলিয়ে গেছে সব। টিকা কেন্দ্রগুলোতে শুধু অলস বসে থাকা। ফুরিয়ে এসেছে মজুত অথচ এখনো প্রায় ১৪ লাখ নেয়নি দ্বিতীয় ডোজ। ক্রমেই বাড়ছে শঙ্কা।
দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া একজন জানান, আমি মনে করেছি, নিতে পারব কিনা শঙ্কায় ছিলাম। পরে টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা নিয়েছি। আমার ম্যাসেজ আসে নেই।
এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ডোজ থেকে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান ১২ কিংবা ১৬ সপ্তাহের বেশি হলে হতে পারে হিতে-বিপরীত।
আরও পড়ুন: নেপালে সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোটের দিন ঘোষণা
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, কখনো একাধিক ব্যক্তি একাধিক ভ্যারিয়েন্টে দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এটা দ্বিতীয় ডোজের স্বল্প সময়ে মধ্যে হতে পারে।
অন্যদিকে এখনো ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি পায়নি সেরাম। প্রতিষ্ঠানটি বলছে চলতি বছরের শেষে হয়তো ছাড়পত্র মিলবে। তাই দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৪ লাখ মানুষের পরবর্তী ডোজ নিশ্চিতই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তারা টিকাটা পাবে। এখনতো টিকার সংকট। আমরা সরকারকে বিভিন্ন টিকার অপশন দিয়েছি। এখন সরকার কোনটা শিখে নেয়।
তবে ১৬ কোটির দেশে এই এক কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা মোকাবিলা হবে সাগরে পানি সেচের মতো। দরকার দক্ষতার সঙ্গে বিকল্প উৎস হতে টিকা সংগ্রহ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বোঝাতে হবে। এখানে কোভিড হওয়ার ঝুঁকির বিষয়টি রয়েছে। তবে ক্যালকুলেশন করলে একটা রিকস থাকে সেটা আমাদের নিতে হবে।
এরই মধ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কবে কত ডোজ মিলবে, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।