পটুয়াখালী, বিশেষ প্রতিনিধি:
সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। সেখানে বসানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। সবচেয়ে বিপজ্জনকভাবে বসানো হয়েছে কংক্রিটের অংশটি। মূল পিলার ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে কাঠের গুঁড়ি বসিয়েছেন সেখানে। কোথাও কাঠ, কংক্রিট আবার কোথাও রডের জোড়াতালি দেওয়া। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার গহিনখালী খালের ওপর এভাবেই দাঁড়িয়ে আছে রাঙ্গাবালী সেতু।
আট বছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। নড়বড়ে সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাবার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তাদের আশঙ্কা, সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গহিনখালী এলাকার গৃহবধূ আসমা বেগম বলেন, ওষুধ কিনতে প্রায়ই এই সেতু পার হয়ে বাহেরচর বাজারে যেতে হয় তাঁকে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাহেরচর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আব্বাস হাওলাদার জানান, সপ্তাহে দুই দিন বাহেরচরে বড় হাট বসে। তখন সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল বেড়ে যায়। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এই সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল কমে গেছে। এতে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় ব্যবসায়িক ক্ষতিতে পড়ছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সমন্বয় কমিটির কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। আর পটুয়াখালী জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল ছাত্তার বলেন, স্থানীয়দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।