সোমবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:১৫
শিরোনাম :
বছরে পর বছর ধরে নষ্ট পানির পাম্পের ভাউচার বিল হাতিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলররা ভুয়া আইডি কার্ড ও জালজালিয়াতি করে সরকারি চাকরিতে বহাল তবিয়তে শওকত ! সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই মাদকের ব্যাপকতা রোধ করা সম্ভব ; খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান শেখ হাসিনাসহ দায়ের হওয়া মামালায় আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে চাঁদাবাজি মামলায় চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন বাংলাদেশের ; পররাষ্ট্র সচিব বিদেশি পিস্তলসহ পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা আটক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য; আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত; আহত পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে ২ যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আদেশ মানেননি বিচারক, হাইকোর্টে তলব

অনলাইন ডেস্ক::

উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী ৩১ মার্চ তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আবেদনকারীর আইনজীবী আছরারুল হক জানান, পাঁচলাইশ এলাকার একটি জমি নিয়ে হাটহাজারীর ফরাহাদাবাদের হাজী ফারুক আহমেদের ছেলে মাহাফুজুর রহমানসহ চারজন চট্টগ্রামের আদালতে একটি ঘোষণামূলক মামলা করেন। মামলাটি চট্টগ্রামের ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন। একই ঘটনায় পাঁচলাইশের তাজুল ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের অন্য আদালতে করা আরেকটি মামলা বিচারাধীন। ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন মামলার তথ্য জানতে পেরে বেলাল হোসেনরা তার আদালতে পক্ষভূক্ত হতে আবেদন করেন। কিন্তু  ২০১৯ সালের ২৯ মে চট্টগ্রামের ৩য় যুগ্ম জেলা জজ সরকার কবির উদ্দিন এ আবেদন খারিজ করে দেন। পরে একই সালের ২৭ আগস্ট ওই আদেশের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চলমান মামলার ওপর তিনমাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের এই আদেশের কপি দাখিল করা হলেও তা ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট আদালত নথিভূক্ত করে রাখেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। একই সালের ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া আদেশের কপিও ওই আদালতে দাখিল করা হয়।

হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে দরখাস্ত দিয়ে বার বার জানালেও মামলার কার্যক্রম চলমান রাখেন সংশ্লিষ্ট আদালত এবং আবেদনকারীরা মোকাদ্দমার প্রয়োজনীয় কোনো পক্ষ না হওয়ায় তাদের দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন এবং মামলা স্থগিতের বিষয়ে দরখাস্ত আগের আদেশ অনুসারে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় নামঞ্জুর করেন।

পরে উচ্চ আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগ এনে আবেদনকারীরা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিষয়ে চট্টগ্রামের আদালতে দরখাস্ত করে জানালেও মামলার কার্যজক্রম চলমান রেখে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করতে আদেশ দিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করেন।

আছরারুল হক আরও বলেন, শুনানি নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালত অবমাননার রুল জারি করে চট্টগ্রামের ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ৩১ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা