অনলাইন ডেস্ক::
দু’দিন আগেই নেটে সাকিবের স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটিং করেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। নেটে বোলিংয়ের সময় খুব একটা অস্বস্তিতে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। তবুও প্রশ্ন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ইনজুরিতে পড়া সাকিব কি প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে পারছেন? কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর বিশ্বাস, শতভাগ ফিট না হলেও, প্রথম টেস্টের আগেই গুছিয়ে উঠবেন তিনি। সাকিবের ফিটনেস নিয়ে নিশ্চিত হতে আলাদাভাবে সময়ও কাটিয়েছেন কোচ।
ডমিঙ্গোর মতে, টেস্টের জন্য ফিট হয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করেছে সাকিব। নেটে বোলিংও করেছে; খুব একটা অস্বস্তি অনুভব করেনি। আমি এখনো বলব না, সে শতভাগ প্রস্তুত। তবে আমার বিশ্বাস, যে সময়টা আছে; তার মধ্যেই গুছিয়ে উঠবে।
তবে, টেস্টে টাইগারদের ওপেনিং জুটি নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না কোচ। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে কাকে খেলানো হবে, তা নিয়ে এখনও কিছুটা দ্বিধায় আছেন। তবে, রাহী-এবাদতের মিডল অর্ডার ব্যাটিংকে খুব গুরুত্ব দেন ডমিঙ্গো।
এদিকে, বোলিংয়ে ঘরের মাঠে শক্তি স্পিন। চট্টগ্রাম টেস্টেও পরিকল্পনা স্পিনারদের কেন্দ্র করেই। স্পিন সহায়ক উইকেট বিবেচনায় নিয়েই সাজাচ্ছেন প্রথম টেস্টের বোলিং আক্রমণ। দীর্ঘদিন পর খেলতে নামায়, টেস্ট সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে বলেও মনে করছেন টাইগার হেডকোচ।
তার মতে, প্রায় এক বছর কেউ টেস্ট খেলেনি। ফলে বোলারদের ফিটনেস ঠিক রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের জন্য ব্যাটসম্যানদেরও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। শুধু মাঠের অনুশীলনেই নয়, জিমে ফিটনেস নিয়েও অনেক কাজ করেছে সবাই। এই ফরম্যাটে ভালো করাটা আমাদের জন্য জরুরি। আর এই সিরিজটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ বলেও মনে করেন ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলেছে। কিন্তু, আমরা খেলিনি। তাই তাদের হালকাভাবে নিলে ভুল হবে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে বলে আশাবদ কোচের।
বাংলাদেশ দল নিয়ে তিনি বলেন, নতুন বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিশীল ফাস্ট বোলার আছে আমাদের। তবে, চট্টগ্রামের উইকেট দেখে মনে হচ্ছে, এখানে পেসারদের জন্য তেমন কিছু নেই। আমরা ফাস্ট বোলার সমৃদ্ধ পাইপলাইন তৈরি করতে চাই। যেটা ওয়ানডে সিরিজে আপনারা দেখেছেন। দেশের বাইরে তাদের দায়িত্ব থাকবে অনেক। তবে, যে উইকেট থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে না, সেখানে পেস আক্রমণ নির্ভর একাদশ সাজানো কিংবা কোনো পেসারের অভিষেক করানোর কোনো মানে হয় না।
‘মোস্তাফিজ অভিজ্ঞ ও দুর্দান্ত পারফর্মার। তাছাড়া, ওর রানআপের সময় পিচে যে রুক্ষভাব তৈরি হবে, সেটা আমাদের অফস্পিনারদের কাজে আসবে। গেলো আট-নয় মাসে ফিজের যে উন্নতি দেখেছি, তাতে টেস্ট সিরিজের জন্যও সে ভালো অপশন হতে পারে।’
লম্বা বিরতির পর টেস্ট সিরিজ, যা আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। যার পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের পাশে লেখা বড় একটা শূন্য। তাই ভেবেচিন্তে পা ফেলতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।