খেলার ডেস্ক::
লেওয়ানডোস্কি ম্যাজিকে ফাইনালে উঠল বায়ার্ন মিউনিখ। সেমিফাইনালে মিশরের আল আহলিকে ২-০ গোলে হারালো বাভারিয়ানরা। জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। বৃহস্পতিবারের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস।
কাতার বিশ্বকাপের আগে ড্রেস রিহার্সালটা শুরু হয়ে গেছে মরুর বুকে। ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে, বাঘা বাঘা ক্লাবগুলোকে আতিথ্য দিতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। করোনা মহামারীর মাঝেও, ফুটবলীয় নৈপূণ্যে ভেসেছে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম।
বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের মর্যাদার লড়াই। ফাইনালে উঠতে হলে বাভারিয়ানদের হারাতে হতে মিশরীয় ক্লাবকে। জার্মানদের জন্য পরীক্ষাটা বড় না হলেও, শঙ্কার। কারণ, অনেক কিছু জিতে ফেলার কারণেই হয়তো, একটু ক্লান্তি এসে ভর করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিবিরে।
প্রতিপক্ষ অচেনা, শক্তিমত্তা নিয়ে নেই খুব ভালো ধারণা। তাই হয়তো কোন পরীক্ষা নীরিক্ষায় যান নি ফ্লিক। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনেই দল নামালেন আহমেদ আলীতে। লোন স্ট্রাইকার হিসেবে থাকলেন রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। আল আহলির পরিকল্পনাও ছিলো জার্মানদের মতো। কিন্তু, মাঠের খেলায় আকাশ পাতাল তফাৎ।
শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে রাখার কৌশল অবলম্বন করে জার্মান ক্লাবটি। ২০১৩ এর পর আবারো শিরোপা জেতার নেশায় বুঁদ তখন লেওয়ানডোস্কি-ন্যাব্রি-কোম্যানরা। একের পর এক সবুলেট গতির শট ছুটে যায় শেনাওয়ির দিকে। বেশ কয়েকবার দলকে বাঁচালেও, ১৭ মিনিটে আর পারেন নি মিশরীয় গোলরক্ষক। ডান পায়ের জোরালো কিকে দলকে এগিয়ে দেন পোলিশ ফরোয়ার্ড।
গোল খেলেও খেলার ধরণে খুব একটা পরিবর্তন আনেনি আরব ক্লাবটি। বায়ার্নের আক্রমণ ঠেকাতে ঠেকাতেই সময় কাটে তাদের। বিরতি থেকে ফিরেও অবস্থা বদলায়নি দু দলের। খেলোয়াড় বদলালেও, আক্রমণে গতি আনতে পারেনি আল আহলে। উলটো দিকে সানে-সুলে-টোলিসোদের সামলাতে হিমশিম খেতে থাকে তারা। ফরোয়ার্ডরা ভুল না করলে এর মধ্যে আরো কয়েকবার এগিয়ে যেতে পারতো বায়ার্ন।
তবে, ম্যাচের শেষ দিকে এসে আবারো ম্যাজিক দেখান লেওয়ানডোস্কি। লিরয় সানের অ্যাসিস্টে দলের এবং নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন তিনি। আর মর্যাদারে আসরের ফাইনালে চলে যায় বায়ার্ন মিউনিখ।
ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস।