অনলাইন ডেস্ক::
দেশের ঘরোয়া ফুটবলের উন্নয়নে উদ্যোগ নিতে হবে ক্লাবগুলোকেই। বাড়াতে হবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। তাহলেই বাড়বে সমর্থক আর এগিয়ে আসবে পৃষ্ঠপোষক। এমন মন্তব্য করেছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী। এদিকে, লিগে ফিক্সিংকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
ফুটবলের উন্নয়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে সে দেশের ঘরোয়া ফুটবল বা ক্লাব ফুটবল। কিন্তু যখন সেই ক্লাব ফুটবলই ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের মতো কর্মকাণ্ডে কলুষিত হয়, তখন হুমকির মুখে পড়ে দেশের ফুটবল।
বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবল অঙ্গনেও এমন অভিযোগ উঠেছে আরামবাগ ও ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। স্বয়ং এএফসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। বর্তমানে চলছে তার তদন্ত। তবে সেই তদন্তে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা স্পষ্ট করে এখনও জানায়নি বাফুফে।
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। আমাদের শনাক্ত কমিটি আছে। আপনাদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে, থার্ড পার্টির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছেন। আমাদের ম্যাচগুলো কিন্তু ভিডিও ধারণ করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি কোন রিপোর্ট না দিচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কিংবা প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এটি গুজব হিসেবেই দেখবো।’
আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দেশের বেশ কয়েকটি ক্লাব জড়িয়ে পড়েছে ক্যাসিনোকাণ্ডে। পরবর্তীতে দল গঠনে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে ক্লাবগুলোকে। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান মনে করেন প্রতিটি ক্লাব অবকাঠামোগত উন্নয়ন আনতে পারলে এক সময় বাড়বে সমর্থক। এগিয়ে আসবে পৃষ্ঠপোষক।
সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘একটি ক্লাবে পেশাদার লিগে খেলতে হলে অবশ্যই তার অবকাঠামোগত উন্নয়ন থাকতে হবে। নিজস্ব স্টেডিয়াম থাকতে হবে। নিজস্ব সদস্য, সমর্থক থাকবে। শক্তিশালী ফুটবল কাঠামো গঠনে ক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তখনই পৃষ্ঠপোষক এগিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবো। তাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ক্লাবগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটাবে। পৃষ্ঠপোষক বাড়বে।’
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক সময় ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতো জনপ্রিয়তা পাবে দেশের ক্লাব ফুটবলও এমনটি আশা সমর্থকদের।