অনলাইন ডেস্ক::
রোমান সানার মতো বিদেশের মাটিতে স্বর্ণ জেতার স্বপ্ন দেখছেন জুনিয়র আর্চার দিয়া, বাপ্পী ও সোহাবরা। তাই কক্সবাজারে ‘উইন্ডি কন্ডিশনে’ নিজেদেরকে মেলে ধরছেন বঙ্গবন্ধু ১২তম জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে। তাদের আশা, আর্চারির মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে স্বর্ণ জয় করে লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার। তবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে নতুন তারকা খেলোয়াড় তুলে আনায় মূল উদ্দেশ্যে বলে জানিয়েছে জাতীয় আর্চারি ফেডারেশন।
এই প্রথম কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্দেশ্যে, বিদেশের মতো বাতাস ও গরমের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের মানিয়ে নেয়া। তাই করছেন জুনিয়র আর্চাররা। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘাম জড়িয়ে নিজেদেরকে তৈরি করছেন প্রিয়া, বাপ্পী ও সোহাবরা। স্বপ্ন একটাই, বিদেশের মাটিতে লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্বর্ণ জয় করা।
জুনিয়র আর্চাররা বলেন, এ কন্ডিশনে গেম খেলতে পারায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এ বাতাসের মধ্যে খেলা খুব কষ্টকর। বিদেশে এমন আবহাওয়া থাকে সবসময়। এ প্রথম আমরা দেশে এমন ওয়েদার পেলাম। এ গেমগুলো আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কাজে আসবে। অলিম্পিক, এশিয়ানে স্বর্ণ জয় করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যানেজমেন্টের লক্ষ্য থাকে সব সময় প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনা। এবারের আসরেও বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি দেখা গেছে প্রথম দিন। তাদের সঠিক পরিচর্যা করা গেলে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখবে বলে মত স্বর্ণ জয়ী আর্চার রোমান সানার।
তিনি বলেন, আমাদের এর আগে টঙ্গীতে যে টুর্নামেন্ট হয়েছে, সেখানে জুনিয়ররা খুব ভালো করেছে। এখানেও এখন পর্যন্ত তাদের পারফরম্যান্স খুব ভালো। নতুনদের শেখার অনেক চেষ্টা আছে। তাদের মাঝে ভালো করার তাগিদ আছে।
আর্চারি ফেডারেশনের ভেন্যু জটিলতা পাশাপাশি ভিন্ন কন্ডিশনে কেমন করেন খেলোয়াড়রা, মূলত এটা যাচাই করতেই এবারর আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজারে। করোনা কালেও চ্যাম্পিয়নশিপে যে পরিমাণ সাড়া পড়েছে তাতে বেশ আশাবাদী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন চপল।
তিনি বলেন, এ ধরণের টুর্নামেন্ট থেকে সবসময় ভালো খেলোয়াড় পাওয়া যায়। এবারও আশা করি ব্যতিক্রম হবে না। এখন পর্যন্ত যা অবস্থা দেখছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট।
সিটি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতা বঙ্গবন্ধু ১২তম জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এবারের আসরে অংশ নিয়েছে ১৪৮ জন আর্চার।