বিশ্বকাপ ট্রফি ধরে রাখতে হলে, শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক ফিটনেসের ওপর জোর দিতে হবে। আর শুধুমাত্র অনুশীলন করলেই এটা সম্ভব হবে না। প্রয়োজন লাইফ স্টাইলের পরিবর্তন। মন্তব্য অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কন্ডিশনিং কোচ রিচার্ড স্টনিয়ারের। আর, এ ব্যাচটার ওপর প্রত্যাশার চাপ না বাড়াতে অনুরোধ করলেন প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজ।
বিশ্বকাপও জেতা যায়, এ মুল্লুকের মানুষের কাছে যা ছিল স্বপ্নের মতো, সেটাকে বাস্তবে নিয়ে এসেছিলেন এ যুবারা। মহা-পরাক্রমশালী দলগুলোকে ধরাশায়ী করেছিল আফ্রিকান কন্ডিশনে। যারাই এসেছিল সামনে, উড়ে গেছে আকবর-রাকিবুলদের তুড়িতে।
এরপর সময় কেটে গেছে, অনেক। ক্যালেন্ডারের পাতায় ঘুড়েছে ৩৬৫ দিনেরও বেশি। কথা ছিল, বিশ্বকাপ মিশনের পর, তাদের নিয়ে করা হবে নতুন পরিকল্পনা। কিন্তু, সব ভেস্তে গেছে করোনার প্রকোপে।
এমনকি জুনিয়রদের নতুন মিশনে নামার সময়টাও পিছিয়ে গেছে অনেকটা। কোভিড নাইন্টিনের গর্ভে হারিয়েছে একটা বছর। মাঠের মানুষেরা, বাইরে থাকতে থাকতে জং ধরেছে স্কিলে। তাই তো, ক্যারিবীয় মিশন শুরুর আগে, এবার ফিটনেসে জোর দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে, সেখানে শারীরিক ফিটনেসের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মনের ওপর। কারণটা জানালেন, রিচার্ড স্টনিয়ার।
তিনি বলেন, শুধু অনুশীলন করলেই হবে না। ফিটনেস লাইফস্টাইলের একটা অংশ। ৭০ ভাগ মেন্টাল এবং ৩০ ভাগ শারিরীক। মন সায় না দিলে, আপনি কিছু করতে পারবেন না। শর্টকাটে কিছু পাবেন না, এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে। এ ব্যাচটা নতুন, অনেক সময় চলে গেছে কিন্তু তারা খুব দ্রুত শিখছে। প্রফেশনাল অ্যাথলিটদের মতো তারা রেসপন্স করছে। যতক্ষণ তারা ইনজয় করবে, এটা আপনাকে ফল দিবে। আমি আমার কাজটা করে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। আশা করি, তারা হতাশ করবে না।
শুরু হয়েছিলো বিশাল একটা বহর নিয়ে। কিন্তু, সে দল এখন ২২ জনের। প্রধান কোচের চোখে স্কিল ওয়াইজ অনেক বেশি অ্যাডভান্স এ নতুনরা। তবে, অপরিচিত কন্ডিশনে টুর্নামেন্ট হওয়ায়, প্রস্তুত হতে আরো সময় লাগবে বলে মনে করেন নাভিদ নেওয়াজ। আশা, প্রত্যাশার চাপ নাড়িয়ে দেবেনা তার শিষ্যদের।
নাভিদ নেওয়াজ বলেন, এ দলটা অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ। এখানে খুব ভালো কিছু পেসার, স্পিনার, অলরাউন্ডার আছে। এখন আমাদেরকে তাদের ভালো কিছু জায়গা দিতে হবে, যেখানে তারা পারফর্ম করতে পারবে। উইন্ডিজের কন্ডিশন আলাদা হবে, সেখানকার সাথে মানিয়ে নিতে হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আমি জানি, আমাদের ওপর মানুষের অনেক প্রত্যাশা, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না এ ছেলেরা এক বছর পিছিয়ে আছে। তাই তাদেরকে নিজের খেলাটা খেলার জন্য সময় দিতে হবে। আমাদের এবারের মিশনটা একটু আলাদা, বিশ্বকাপ ধরে রাখতে উইন্ডিজে যাবো আমরা। চাপ আছে, তবে আমি সবাইকে সেটা উপভোগ করতে বলেছি।
ভারতে আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের যুবাদের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর দেশের মাটিতে পাকিস্তান এবং বছরের মাঝামাঝি ইংল্যান্ড যাবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।