অনলাইন ডেস্ক::
দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। এবার ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৩ রান সংগ্রহ করে পাইলট-বেলিমরা। জবাবে ৬ ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।
স্মৃতিকাতর ক্রিকেট বিশ্ব। এই নস্টালজিয়া কাজ করবে আরও কিছুদিন। যেন ২০২১-এর মার্চে ফিরে এসেছে ৯০-এর দশক কিংবা নতুন করে শুরু হয়েছে একবিংশ শতাব্দী। রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে ক্রিকেটের কিংবদন্তিরা আবারও ২২ গজে। আহামরি বন্ধুত্ব না থাকলেও পুরনো বিদেশি সতীর্থদের এতদিন পর দেখে ভালো লাগারই কথা।
খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে শক্তির বিচারে কোনো কন্ডিশনেই ইংলিশদের সমকক্ষ ছিলো না পাইলট-রফিকদের বাংলাদেশ। সাদা-কালো চুল-দাড়ি আর ভারী শরীরের এই দলও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি থ্রি লায়নদের। রায়পুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। ম্যাথিউ হোগার্ড, মন্টি পানেসার, সাইডবটম, ট্রেমলেটদের বিপক্ষে রান তুলতে বেগ পেতে হলো।
নাজিমউদ্দিন ১২, জাভেদ ওমর ৫, নাফিস ইকবাল ৮, হান্নান সরকার ১৩ আর রাজিন সালেহ আউট হন ৫ রানে। প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ৫৫ রান।
তবে, লড়াকু মনোভাব নিয়ে নেমেছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট আর মুশফিক বাবু। ৩১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন পাইলট। মুশফিক বাবু অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। বাংলাদেশ লিজেন্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৩।
প্রথম ম্যাচে ভারতকে ১১০ রানের টার্গেট দিয়ে বীরেন্দর শেবাগের ব্যাটিং তাণ্ডবে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে একেবারে তেমনটা না হলেও, বড় হারই সঙ্গী হয়েছে। ক্যাচ মিস কিংবা ওভার থ্রোয়িংয়ের পুরনো অভ্যাস এখনও আছে বাবু-আলমগীরদের।
৪৬ রানের ওপেনিং জুটিতে মাস্টার্ডের অবদান ২৭। কেভিন পিটারসেন খেলেন ১৭ বলে ৪২ রানের ইনিংস। বাঁ-হাতের ঘূর্ণি পুরোপুরি ভোলেননি মোহাম্মদ রফিক। পিটারসেন আর স্কোফিল্ডকে ফেরান প্যাভিলিয়নে। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট টি-টোয়েন্টিতে একেবারে খারাপ নয়।
আরেক পাশে মিতব্যয়ী আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। উইকেট না পেলেও, ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৯ রান।
তবে, এসবে আর কতটুকুই হলো! ১৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।