স্পোর্টস ডেস্ক ::
ক্যারিয়ার বাঁচানো এক সেঞ্চুরি দিয়ে লঙ্কা সফরে টেস্টের প্রথম দিন শেষ করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অপরাজিত আছেন ১২৬ রানে। চাপ না নিয়ে, নিজের মতো খেলতে পারায় এসেছে সাফল্য, জানিয়েছেন তিনি। পজিটিভ ক্রিকেট খেলে, বড় করতে চান ব্যক্তিগত স্কোর।
এর চেয়ে ভালোভাবে দিন শেষ করা যেতো কিনা প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তবে আপাতত, সেটা তোলা থাক। প্রতিপক্ষের শুভকামনা জুটেছে অন্তিম মুহূর্তে। অভিবাদন জানিয়েছেন সতীর্থরাও। আর প্রধান কোচের চোখে তো ছিল স্বস্তির হাসি।
এ সব কিছুই এসেছে একটা মাত্র সেঞ্চুরির জন্য। এখন সেটাকে আরো বড় করতে চান শান্ত। বাড়াতে চান দলীয় স্কোরও।
অথচ টেস্টের শুরুর সময়টা ছিলো না, এতোটা উজ্জ্বল। উইন্ডিজ সিরিজে টানা ৪ ইনিংস তিনে নেমেছিলেন। অধিনায়কের ছেড়ে দেয়া জায়গাটায় নিজের মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি। ফলাফল, চারদিক থেকে ছুটে এসেছিলো সমালোচনা।
আশা ছিলো জাতীয় লিগে খেলে আবারো ফিরে পাবেন নিজেকে। কিন্তু ওশেনিয়াতে চলে যাওয়ায়, হয়নি সেটাও। সেসময় দলে ঢোকার প্রতিযোগিতায় থাকা সাদমান আর সাইফ ব্যাট চালিয়ে গেছেন দুর্দান্তভাবে। তাই লঙ্কা সফরে রান না আসলে, অ্যাপিটাফ লেখা হয়ে যেতো শান্তর ক্যারিয়ারের।
দূর্বিনীত এ চাপ, মাথার বোঝা হয়ে গিয়েছিলো শান্তর জন্য। কিন্তু পাল্লেকেলেতে দেখা গেলো তার ছিটেফোটাও। শূন্য রানে সাইফ ফিরে যাওয়ার পর, মাঠে নেমে শুরুতে ছিলেন না খুব একটা স্বস্তিতে। কিন্তু, অন্য প্রান্তে তামিম বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকলে ধীরে ধীরে চাপটা কমে যায় শান্তর।
ফলাফল, সময় গড়াতেই নিজেকে খুঁজে পান নাজমুল। ওভার দ্য উইকেটে ছোড়া বলগুলো ব্লক করতে করতে বিরক্ত করে তোলেন লাকমল, লাহিরু এবং ফার্নান্ডোকে। বলের মেরিট অনুযায়ী রানও তোলেন সমান তালে। তামিমের সঙ্গে গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। ২০০৯ এর পর দেশের বাইরে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যা প্রথম শত রানের জুটি বাংলাদেশের।
তামিম ফিরে গেলেও, অটুট ছিলেন নিজের চিন্তার জায়গায়। বাজে বলে মেরেছেন, ভালো বল ঠেকিয়েছেন। সুযোগ দেননি বোলার কিংবা ফিল্ডারদের। ২৩৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন শান্ত। বেঁচে যায় বাংলাদেশও। পাল্লকেলেতে ১২৬ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।