মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের বলারামপুর গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর ও শালীকে অপহরনের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের। মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের বলারামপুর গ্রামের মৃত এছাহাক শেখের পুত্র ছিদ্দিক শেখ এর সাথে একই ইউনিয়নের চরপৈক্কা গ্রামের আতাহার বেপারীর কন্যা রহিমা বেগমের ২০১৩ সালের ৩রা মেয়ে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। প্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল দিয়ে ছিদ্দিকের ঘর সাজিয়ে দেয়ার পরেও বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় রহিমাকে যৌতুকের জন্য শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল ছিদ্দক শেখ।
গত ১লা মার্চ ২০২১ইং তারিখ ছিদ্দিক শেখ বিদেশ যাওয়ার বাহানায় রহিমাকে তার বাবার বাড়ী থেকে দুই লক্ষ টাকা এনে দেয়ার কথা বললে এতে রহিমা রাজী না হওয়ায় তার তলপেটে লাথি মারে ছিদ্দিক শেখ এতে করে রহিমার গর্ভের বাচ্চা আঘাতপ্রাপ্ত হইলে রহিমার শ্বসকষ্ট শুরু হয়। পরে ছিদ্দিক শেখ রহিমাকে তার ৫বছরের ছেলে সহ এক কাপড়ে তার বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। বচ্চার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেলে রহিমা মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করেন।
সেখানকার ডাক্তার জরুরী সিজার করার কথা বললে রহিমার বাবা বরিশাল ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে তার সিজার করালে একটি মৃত সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। ছিদ্দিক শেখ ও তার মায়ের কাছে একাধীক খবর পাঠালেও তারা তাকে দেখতে যায়নি। এঘটনায় রহিমা বেগম বাদী হয়ে ২৭-০৫-২০২১ইং তারিখ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই যৌতুকলোভী ছিদ্দিক শেখ গত ০৬-০৩-২০২১ইং তারিখ তার নাবালিকা শালীকা লামিয়াকে কচিং এ যাওয়ার পথে লোকজন সাথে নিয়ে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে যায়। এঘটনায় লামিয়ার বাবা স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে ২৩মে ২০২১ বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছিদ্দিক শেখের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।