বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:০৩
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

বরিশালে নারী আসামীকে রিমান্ডে যৌন হয়রানি: ওসি-পরিদর্শক ক্লোজড

বিশেষ প্রতিবেদক::

বরিশালের উজিরপুর থানায় রিমান্ডে নিয়ে হত্যা মামলার নারী আসামিকে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তা‌দের বরিশাল পু‌লিশ লাই‌ন্সে সংযুক্ত করার নি‌র্দেশ দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

ব‌রিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপু‌রে সাংবাদিকদের জানান, উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলামকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআই‌জি এসএম আক্তারুজ্জামান তিন সদ‌স্যের তদন্ত ক‌মি‌টি গঠ‌ন করেন। এর এক‌দিন প‌রে তা‌দের প্রত্যাহার করা হ‌লো।

গত শুক্রবার (২ জুলাই) শেবা‌চি‌মের প‌রিচালক‌কে ২৪ ঘণ্টার ম‌ধ্যে আসামির শারীরিক প‌রীক্ষার প্রতিবেদন দা‌খি‌লের নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছি‌লেন আদালত। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাসুদেবের ভাই বরুণ চক্রবর্তীর উজিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর তাকে উজিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার পরপরই এক নারী পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। পরে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং ২৯ জুন তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

আদালতকে ভুক্তভোগী নারী আসামি বলেন, এদিন তাকে মারধর না করা হলেও পরদিন সকালে তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে পাঠানো হয়। তিনি তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালান। এরপরে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ডেকে নিয়ে তাকে আবার লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।

এক পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই তাকে ১৫/২০ মিনিট ধরে পেটান। একপর্যায়ে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পান।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাকে খুনের অপরাধ স্বীকার করতে বলেন।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা