সোমবার, ৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:২৪
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

সেই ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে মুখ খুললেন মমতাজ

অনলাইন ডেস্ক::

সম্প্রতি ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়া নিয়ে নতুন করে সমালোচনায় এসেছেন দেশের সংগীত জগতে ‘ফোক সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত মমতাজ। যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন মমতাজ সেটি বৈধ নয় বলে শোনা যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রির অভিযোগও আসে সামনে।

বিষয়টি উঠে এসেছে বিডি ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে। তারা বলছে, ভারতে গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি নামে বৈধ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে এই নামে একটি ওয়েবসাইট আছে, যারা টাকার বিনিময়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়ে থাকে, যা ভারতের দ্য ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন (ইউজিসি) অ্যাক্ট ১৯৫৬ অনুযায়ী অবৈধ।

এতদিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও মুখ খুলেছেন মমতাজ। রোববার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন কিভাবে এই সম্মাননার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এবং তারা কারা।

মমতাজ বলেন, বছরখানেক আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আমাকে ই-মেইলে আমাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলো। এ প্রস্তাব পাওয়ার পর আমার লোকজন দিয়ে খোঁজখবর নিই। আমি দীর্ঘদিন লোকগান নিয়ে কাজ করেছি, বাউলদের নিয়ে কাজ করছি, সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডেও নিজেকে যুক্ত রেখেছি বলেই তারা আমাকে বেছে নিয়েছে বলে জানতে পারি। এছাড়াও আমি কলকাতায় আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা খোঁজখবর নিয়ে জানিয়েছে, এর আগে এই সম্মাননা বাংলাদেশের আরও একজনকে দেওয়া হয়েছিল। এবার যাদের সম্মাননা দিয়েছে, তাদের মধ্যে ওই দেশের সাবেক আইজিপি যেমন আছেন, তেমনি বিচারপতি, চ্যানেলের মালিক, তামিলনাড়ুর ধর্মগুরুও ছিলেন। ১০ জন বিশেষ ডিগ্রিধারী লোক ছিলেন। আমাকে যথেষ্ট সম্মান করা হয়েছে। পুরস্কার গ্রহণের পর সবার অনুরোধে গান শোনাতে হয়। গান শুনে সবাই মুগ্ধও হয়েছেন।

তারা বাংলা ভাষা জানেন কিনা সে বিষয়ে মমতাজ বলেন, কিছু লোক বাংলা বোঝে, কিন্তু বেশির ভাগই বোঝে না। সুরটা ওদের বেশি আকৃষ্ট করেছে। তারপরও ওরা যে আনন্দ প্রকাশ করেছে, মনে হয়েছে বাংলাদেশের কোনো মঞ্চে গান গেয়েছি। ভীষণ ভালো লেগেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার খুব ভালো করে জানা নেই, তবে আমার লোকজন দিয়ে খবর নিয়ে জানতে পারি, সবই ঠিকঠাক। নিজের দেশ হলে সমস্যা ছিলো না, বিদেশ তাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমার কাছে বিষয়টি এই জন্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে, ওখানকার গণ্যমান্য যারা উপস্থিত হয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই না জেনে সেখানে যাননি। তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তারা না জেনে আসার মানুষ নন। এই মানুষগুলো যেহেতু গিয়েছিলেন, তাই ধরে নিতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়টি ভুয়া নয়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা